আইপিডিসি গ্রিন ব্যাংকিং

২০১৩ সালের ১১ আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক –এর জিবি ও সিএসার ডিপার্টমেন্ট দ্বারা ইস্যু করা "পলিসি গাইডলাইন ফর গ্রিন ব্যাংকিং" অনুযায়ী,১৪ মে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত তাদের ১৩৭তম মিটিংয়ে আইপিডিসি পরিচালনা পর্ষদ'সবুজ ব্যাংকিং নীতিমালা' গ্রহণ করে।

আইপিডিসি ইতিমধ্যে কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট প্রধানের নেতৃত্বে সবুজ ব্যাংকিং ইউনিট (GBU) প্রণয়ন করেছে।

আইপিডিসি তাদের কর্মচারীদের জন্য 'সবুজ অফিস গাইড' প্রণয়ন করেছে। এই নীতির প্রথম উদ্দেশ্য হলো সম্পদ রক্ষার জন্য আরো দক্ষ কর্মপন্থা গড়ে তোলার রূপরেখা তৈরি করা। এছাড়াও এই নীতির মাধ্যমেআইপিডিসি’র কর্মচারীদের মাঝে আরও পরিবেশ বান্ধব কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রচার করা হয়আরইতিবাচক কর্মক্ষেত্র গড়ে তোলার জন্য পদক্ষেপ চিহ্নিত করা হয়।সবাই যেন পরিবেশ রক্ষা করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে সেই জন্য সাস্টেইনেবল প্রকিউরমেন্ট–এর চর্চা আর পরিবেশ সংরক্ষণ করার নীতির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

গ্রিন অফিস গাইড ছাড়াও, প্রতিষ্ঠানের একটি অনন্য এবং কার্যকরী ইন্ট্রানেট সিস্টেম আছে যা অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ, তথ্য বিনিময়, কর্মচারী শিক্ষা এবং ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্টের জন্য অন্যতম সেরা একসমাধান। এখানেই-নোটিশবোর্ড, অনলাইনে ছুটি ব্যবস্থাপনার সুবিধা, কর্মচারীদের জন্যই-অ্যাটেন্ডেন্স –এর মত নানা ফিচার আছে ।

প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ যোগাযোগই অনলাইনে হয়। কাগজের অপচয় কমাতে এবং কর্মচারীর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য বিভিন্ন বিষয়গুলো ইন্ট্রানেটে পোস্ট করা হয়। তাতে কাগজের সাশ্রয়ী ও সঠিক ব্যবহারের ওপর নানাবিধ পরামর্শ থাকে, যেমন কাগজের উভয় দিকে প্রিন্ট করা ও যতটা সম্ভব কাগজের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করা।এই সমস্ত পরামর্শের ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে কাগজ ব্যবহার কমে আসছে এবং এইভাবে আইপিডিসিপরিণত হচ্ছে একটি পরিবেশ বান্ধব প্রতিষ্ঠানে।

আইপিডিসি ২০১৩ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশব্যাংক –এর কাছে গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম রিপোর্ট প্রদান করে আসছে। আমাদের গ্রিনব্যাংকিং কার্যক্রম সকলের দৃষ্টিগোচর করা এবং স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে আমাদেরবার্ষিকপ্রতিবেদন, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পাবলিকেশনে একটি পৃথক অধ্যায় রাখা হয়েছে।

আইপিডিসি সম্পূর্ণরূপে আইটি ভিত্তিক গ্রিন মার্কেটিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করার জন্য মডার্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। এরই অংশ হিসেবে এসএমএস ব্যাংকিং সেবা সৃষ্টি করা হয়েছে। আইপিডিসি তার গ্রাহকদের কাগজের ব্যবহার এড়াতে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগে উৎসাহিত করে।

আইপিডিসি তার নিয়মিত ক্রেডিট ম্যানুয়ালের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) গাইডলাইন তৈরি করেছে। পরিবেশগত ঝুঁকি মানেইঋণের ঝুঁকি, তাইতা সঠিকভাবে পরিচালনা করা প্রয়োজন।এ বিষয় প্রাধান্য দিয়ে আর বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এর নির্দেশিকার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, আইপিডিসি –এরEnvironmental Risk Management (ERM) পলিসি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং 'ক্রেডিট ম্যানুয়ালটি রভার্সনঃ ৫-এ অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে। Environmental Due Diligence (EDD) –এর দ্বারা রিভিউ হওয়া সংশ্লিষ্ট সকলের এই চেকলিস্ট অনুসরণ ও মানতে হবে।

গ্রিন ব্যাংকিং এর জন্য ৩ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ আছে (সবুজ ফাইন্যান্সের জন্য ২০ কোটি টাকা এবংজলবায়ু ঝুঁকি তহবিলে ১০ কোটি টাকা)।

বিভিন্ন দুর্যোগ ও দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষা করতে ব্যাংকটি তার বিভিন্ন শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে কর্মশালা, সেমিনার ও গ্রাহক গেট-টুগেদার আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে যেখানে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় এবং সচেতনতা বৃদ্ধিপায়।

Human Resources Development দ্বারা আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে গ্রিনব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশন আছে।

আইপিডিসি ২০১৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে তার গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম রিপোর্ট প্রদান করে আসছে। আমাদের সবুজ ব্যাংকিং কার্যক্রম সকলের দৃষ্টিগোচর করা এবং স্টেকহোল্ডারদের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষে আমাদের বার্ষিক প্রতিবেদন, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ পাবলিকেশনে একটি পৃথক অধ্যায় রাখা হয়েছে।